দেখতে দেখতে ইতোমধ্যে পঁচিশটি বছর পেরিয়ে গেল। এই সিকি শতাব্দীতে মানুষের
সেই স্বপড়ব-আশা পূরণ করতে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কতটা পথ পেরুতে হয়েছে, কী
দুঃসাধ্য সাধন করতে হয়েছে, কী বিপুল প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হয়েছে এবং
অলৌকিকভাবে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসে জীবনজয়ের যুদ্ধে ব্যাপৃত হতে হয়েছে সে
কাহিনী আপনাদের জানা আছে। তবুও আজ আমরা আরেকবার ফিরে তাকাতে চাই
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পঁচিশ বছর পূর্তির এই দিনে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে স্মরণ করিয়ে
দিতে চাই এই অকুতোভয় মহিয়সী নেত্রীর হিরন্ময় অবদানের কথা। কেননা শেখ হাসিনা
আজ আর শুধু একজন ব্যক্তি নন, প্রতিষ্ঠানও বটে এবং তিনি কেবল তার স্বামী-পুত্র-কন্যা
পরিবারের নন, এমনকি কেবল তাঁর প্রিয় দলের নন-তিনি সমগ্র বাঙালি জাতির অতি
আপনার জন।

 ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পঁচিশ বছর
‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পঁচিশ বছরগৌরবোজ্জ্বল সংগ্রাম ও সাফল্য’নূহ-উল-আলম লেনিন
১৭ মে, ২০০৬ জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের
২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ
আয়োজিত আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ হিসেবে পঠিত।
প্রথম মূদ্রণ: ১৭ মে, ২০০৬
দ্বিতীয় মূদ্রণ: ২৭ মে, ২০০৬
মূল্য: তিন টাকা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথ্য ও গবেষণা বিভাগের প্রকাশনা
২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত
১৯৮১ সালের ১৭ মে। মেঘ মেদুর- সে দিনটি ছিল বর্ষণ ক্লান্ত। লক্ষ
কোটি বাঙালির উন্মাতাল ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে স্বদেশের পবিত্র
মাটিতে পা রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালের
১৫ আগস্ট থেকে শোকস্তব্ধ বাক্যহারা অযুত মানুষ সেদিন প্রকৃতির
মতোই অঝোর ধারায় মর্মভেদী কানড়বায়-আনন্দাশ্র“তে বরণ করে
নিয়েছিল তাঁকে। ভগড়বহৃদয়-শোকাহত-আশাহত-দিশাহীন বাঙালি জাতি
সেদিন শেখ হাসিনাকে তাদের মধ্যে ফিরে পেয়ে জেগে উঠেছিল নতুন আশায়, নতুন স্বপেড়ব
ও উদ্দীপনায়।
কোটি বাঙালির উন্মাতাল ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে স্বদেশের পবিত্র
মাটিতে পা রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালের
১৫ আগস্ট থেকে শোকস্তব্ধ বাক্যহারা অযুত মানুষ সেদিন প্রকৃতির
মতোই অঝোর ধারায় মর্মভেদী কানড়বায়-আনন্দাশ্র“তে বরণ করে
নিয়েছিল তাঁকে। ভগড়বহৃদয়-শোকাহত-আশাহত-দিশাহীন বাঙালি জাতি
সেদিন শেখ হাসিনাকে তাদের মধ্যে ফিরে পেয়ে জেগে উঠেছিল নতুন আশায়, নতুন স্বপেড়ব
ও উদ্দীপনায়।
নীলকণ্ঠ পাখি এক
যে বিষ পান করে বিষ হজম করতে পারে তাকে বলা হয় নীলকণ্ঠ। শেখ হাসিনাকে আমি
নীলকণ্ঠ পাখির সঙ্গে তুলনা করব। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা
ও শেখ রেহানা ঘটনাμমে দেশে না থাকায় অনিবার্য মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যান।
জার্মানিতে অবস্থানকালে তিনি সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার সেই মর্মান্তিক দুঃসহ সংবাদ
হাসিনা ও শেখ রেহানার মতো আর কারো পক্ষে তা সমভাবে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। এ
যেন গ্রিক ট্র্যাজেডির নিয়তি নির্ধারিত খেলা। যে মারা যায়, তার মুহূর্তের মৃত্যু যন্ত্রণা
মৃত্যুতেই লীন হয়ে যায়। কিন্তু নিয়তি যেন কাউকে কাউকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখে মৃত্যু-
যন্ত্রণার মতোই প্রতি মুহূর্তে পলে পলে স্বজন হারানোর যন্ত্রণা ভোগ করার জন্য। আর এই
যন্ত্রণা ও বেদনার ভারকে বুকে ধারণ করেই গত পঁচিশ বছর ধরে তিনি জাতির জনকের
স্বপড়ব রূপায়ণ ও বাংলার দুখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য নিরন্তর সংগ্রাম করে
মাতৃভূমির ডাক
reference: http://www.albd.org১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের রক্তাক্ত ঘটনাবলির পর তাৎক্ষণিকভাবে স্বদেশে ফেরার
কোনো পরিবেশ ছিল না। মাতৃভূমি বাংলাদেশে তখন চলছে ক্যু পাল্টা ক্যু। ক্ষমতার বখরা
নিয়ে চলছিল হিংস্র শকুনিদের টানাহেঁচড়া। জেনারেল জিয়ার বর্বর সামরিক জান্তার বুটের
 তলায় পিষ্ট হচ্ছিল পবিত্র সংবিধান, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার। পেছনে তাড়া করে ফেরে
তলায় পিষ্ট হচ্ছিল পবিত্র সংবিধান, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার। পেছনে তাড়া করে ফেরে
মৃত্যুর বিভীষিকা। বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ নিষিদ্ধ। সামরিক জান্তা চায় না বঙ্গবন্ধুর রক্তের।
কোনো পরিবেশ ছিল না। মাতৃভূমি বাংলাদেশে তখন চলছে ক্যু পাল্টা ক্যু। ক্ষমতার বখরা
নিয়ে চলছিল হিংস্র শকুনিদের টানাহেঁচড়া। জেনারেল জিয়ার বর্বর সামরিক জান্তার বুটের
মৃত্যুর বিভীষিকা। বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ নিষিদ্ধ। সামরিক জান্তা চায় না বঙ্গবন্ধুর রক্তের।
 
 
 
 
 
 
 
No comments:
Post a Comment